শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে কন্টেইনার ভর্তি ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা জব্দ

চট্টগ্রামে কন্টেইনার ভর্তি ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা জব্দ

স্বদেশ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কন্টেইনার ভর্তি ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১০ এপ্রিল) আটকের মাধ্যমে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রোধ করেন বলে শুল্ক কর্মকর্তাদের দাবি।

রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) মো: সাইফুল হক নয়াদিগন্তকে জানান, ফেনী সদরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজিজ এন্টারপ্রাইজ ভারতের কলকাতা থেকে সোডা এ্যাশ লাইট ঘোষণায় BL NO: CCUCGPCSL040013-এর মাধ্যমে এক কন্টেইনার (CCLU7093033 x 40 ) পণ্য আমদানি করেন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় বিভিন্নবিষয় বিশ্লেষণ করে পণ্যচালানটিতে অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা লাভ করা হয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে গত ৪ এপ্রিল কন্টেইনারটি জাহাজে থাকা অবস্থায় BL NO CCUCGPCSL040013-এ দফতরের AIR শাখা কর্তৃক ASYCUDA WORLD SYSTEM-এ লক করা হয়। কন্টেইনারটি জাহাজ হতে অবতরণের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বন্দরের বিশেষ নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়।

পরবর্তীতে কন্টেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করে ১০০ ভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত পণ্য সাডা এ্যাশ লাইটের পরিবর্তে ১২ হাজার ৫৫০ পিস বেনারসি শাড়ি, এক হাজার ১৩৯ পিস জর্জেট শাড়ি, ৪০৩ পিস লেহেঙ্গা ইত্যাদি পাওয়া যায়।

পণ্যচালানটিতে পাওয়া ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য এক কোটি ১১ লাখ টাকা প্রায়। আমদানি করা এ জাতীয় ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার উপর উচ্চ শুল্ক হার প্রযোজ্য থাকায় আলোচ্য পণ্যচালানটিতে আমদানি করা ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার বিপরীতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ এক কোটি ৪১ লাখ টাকা প্রায়।

তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর এ আমদানি করা ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার বিপুলক্রেতা চাহিদা থাকায় রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে পণ্যচালানটি আমদানি করা হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। স্বল্পমূল্যের সোডা অ্যাশের পরিবর্তে মিথ্যা ঘোষণায় উচ্চমূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা আমদানি করায় বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা মানিলন্ডারিং করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মিথ্যা ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি প্রদানের অপচেষ্টা করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877